কাঞ্চনগঙ্গা কখন দেখা যায় - নীরব সৌন্দর্যের রাজ্য

ফাইবার মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট  খোলার নিয়ম পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার গাইড সম্পর্কে বর্তমানে অনেকেরই অজানা। আবার অনেকে হয়তোবা এই বিষয়টা জানেই না যে পেপাল একাউন্ট কি এবং কেন ব্যবহার করে। আজকে আমরা জানবো পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম।
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
তাই আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আমি সবাইকে জানাবো পেপাল একাউন্ট এর যাবতীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে। যার দ্বারা আপনারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। তাই আপনারা আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখুন।

পেজ সূচিপত্র: পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার গাইড স্ক্রিনশট সহ দেয়া হলো

পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার গাইড সম্পর্কে আলোচনায় হলো আজকের মূল বিষয়। দেখা যায় পেপাল একাউন্টের প্রয়োজন হয় কিন্তু বিদেশে কোন আত্মীয়-স্বজন না থাকায় তারা পেপাল একাউন্ট করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে সহজ ও সুনির্দিষ্ট কিছু ট্রিকস ফলো করে খুব সহজে পেপাল একাউন্ট খোলা ও ভেরিফাই করা যায়। নিচে কয়েকটি ধাপে ছবি সহ এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো।

ধাপ ১. পেপাল একাউন্ট খোলা

প্রথমেই গুগল এ গিয়ে http:// paypal.com লিখে সার্চ করে পেপাল এর নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
Source: trickbd.com

এরপর সেখানে থাকা সাইন আপ বাটনে ক্লিক করে পেজের ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
Source: trickbd.com
এবার সেখানে দুটি অপশন থাকবে পার্সোনাল এবং বিজনেস একাউন্টের জন্য। বাংলাদেশ থেকে পার্সোনাল পেপাল একাউন্ট খোলা যায় না কারণ এটি বাংলাদেশে বৈধ নয়। তাই এই ক্ষেত্রে Business Account অপশনে ক্লিক করে সাবমিট করতে হবে। 
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
Source: trickbd.com

এবার পরের ইন্টারফেস যেটা আসবে সেটাতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে continue এ ক্লিক করে পরের ফর্মে যেতে হবে।
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
Source: trickbd.com

এরপর সেখানে যে ফর্মটি আসবে তার সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে । এক্ষেত্রে NID তে থাকা তথ্য অনুযায়ী ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এবং password section নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এরপর ফর্মটি সাবমিট করতে হবে। যেহেতু এটা বিজনেস একাউন্ট সেহেতু বিজনেস রিলেটেড কিছু তথ্য জানতে চাইবে। যদি আপনার কোন বিজনেস না থাকে সে ক্ষেত্রে শুধু যে কোন একটি বিজনেস নাম দিয়ে আপনি খুলতে পারবেন।
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
Source: trickbd.com
এরপর যে ফরমটি আসবে সেখানে সমস্ত সঠিক তথ্য দিয়ে create new account এ ক্লিক করে নতুন একটি পেপাল একাউন্ট খুলে নিতে হবে।

ধাপ ২. USA Address দিতে হবে

এই ধাপে গুগল এ গিয়ে fake address generator লিখে সার্চ দিয়ে যেই পেজটি আসবে তাতে প্রবেশ করতে হবে।
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
Source: trickbd.com
এবার সেই পেজে একটি business related ফরম আসবে সেখানে সমস্ত তথ্য দিতে হবে । এরপর আরো একটি ফর্ম আসবে এবং সেই ফর্মটিতে ৪ নম্বরের PIN সহ ব্যবহারকারীর তথ্য দিতে হবে।
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
Source: trickbd.com
এরপর ফর্মটি পূরণ করে Submit option এ click করতে হবে।

ধাপ ৩ ভেরিফিকাত
পূর্বের ধপের কাজ শেষ হলে ফর্ম এ দেওয়া নিজের Gmail এড্রেসে যেতে হবে। সেখানে inbox এ পেপাল কর্তৃপক্ষ দ্বারা দেওয়া একটি mail আসবে। এবার সেই mail টি confirm your email এ ক্লিক করে রিসিভ করলে Gmail address টি ভেরিফাই হয়ে যাবে
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
Source: trickbd.com

এরা সাথে পেপাল একাউন্ট খোলার সময় দেওয়া মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই এর জন্য পেপাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি সেই মোবাইল নাম্বারে ফোন করে মোবাইল নাম্বারটি ভেরিফাই করে নেবে। ব্যাস এতটুকু করলেই পেপাল একাউন্ট খুলে তা ভেরিফাই হয়ে যাবে।
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-গাইড
Source: trickbd.com

পেপাল একাউন্ট এর ধারণা


PayPal হলো পুরো বিশ্বে জনপ্রিয় ও অন্যতম একটি আমেরিকান কোম্পানি। যার দ্বারা সম্পূর্ণ বিশ্বজুড়ে অনলাইন পেমেন্ট সার্ভিস দেয়া হয়। ‌ এক্ষেত্রে যারা অনলাইনে কাজ করেন তারা নিশ্চয়ই পেপাল একাউন্ট সম্বন্ধে জানেন। বর্তমানে বাংলাদেশে পেপাল একাউন্টের বৈধতা নেই। যার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকিং লেনদেনের সাথে পেপাল একাউন্টের কোন ধরনের আর্থিক লেনদেনের বিষয় সম্পর্কে কোন কিছু আমরা লক্ষ্য করতে পারি না। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা পেপাল ভেরিফাইড একাউন্ট ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে দেখা যায় একজন পেপাল ব্যবহারকারী সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে কিছু কৌশলে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে পারে।

বিশেষ করে যেসব ব্যবসায়ীর আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন পরে ভিন্ন দেশের কোন ব্যাংকের সাথে সেই ক্ষেত্রে তারা কিছুটা কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে পারে। যার জন্য তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে পেপাল একাউন্টের জন্য কোন ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে হয় না। যদি সহজ ভাষায় বলা হয় তবে পেপাল একাউন্ট হলো বিশ্বখ্যাত একটি অনলাইন আর্থিক লেনদেনের একটি ডিজিটাল মাধ্যম। যার দ্বারা খুব সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন সিস্টেমে টাকা আদান-প্রদান ও পণ্য কেনাকাটা করা যায়। বিশ্ব বিখ্যাত এই আমেরিকান কোম্পানি পেপাল এর মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা আদান-প্রদান ও কেনাকাটার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম।

যার জন্য এখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পেপাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে খুব সহজেই একজন ব্যক্তি ভিন্ন দেশের সাথে বিকাশের মতন করে আর্থিক লেনদেন করতে পারে। স্বাভাবিকভাবে বিকাশ অ্যাপ যেরকম আমাদের দেশের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, ঠিক সেই রকম ভাবেই বাইরের দেশের সাথে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করতে হয়।

পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করার কারণ

যারা অনলাইনে কাজ করেন তারা পেপাল একাউন্ট সম্বন্ধে জানেন। মূলত পেপাল একাউন্ট একটি অনলাইন সার্ভিস যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি খুব সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে আর্থিক লেনদেন করতে পারে। বলা বহুল্য বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পেপাল একাউন্ট এর ক্ষেত্রে বৈধতা নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে পেপাল একাউন্টের কোন ধরনের হস্তক্ষেপ বা কোন ধরনের লেনদেন নেই। এক্ষেত্রে একজন বাংলাদেশী সামান্য কিছু ধাপ ও কিছু কৌশল অনুসরণের মাধ্যমে ভেরিফাই পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা না নিয়ে সেই টাকা নিজের পেপাল একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারে। এছাড়া যারা অনলাইন ফ্রিল্যান্সার বা অনলাইনে কাজ করে অথবা অনলাইনে ব্যবসা করে তাদের জন্য পেপাল একাউন্ট থাকা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। কেননা তাদের বাইরের দেশের ক্লায়েন্টের সাথে লেনদেন করতে হয় আর তাদের এই লেনদেনের ক্ষেত্রে পেপল একাউন্ট একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশের মধ্যে মানুষ লেনদেনের ক্ষেত্রে যেমন বিকাশ, নগদ ও রকেট এর মতন অনলাইন সার্ভিস গুলো ব্যবহার করে থাকে ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লেনদেনের করার জন্য paypal অ্যাকাউন্ট ঠিক একইভাবে ব্যবহার করতে হয়। যদিও এটি বিকাশের মতো ব্যবহার হয়ে থাকে তারপরেও পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে ভিন্ন দেশের ডলারকে নিজে দেখল এক্সচেঞ্জ করে নিয়ে আসা যায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কোন লেনদেন করতে হয় না। অর্থাৎ পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে বাইরের দেশের ডলার নিজ একাউন্টে ট্রান্সফার করা যাই তবে এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে পেপাল একাউন্ট এর জন্য কোন টাকা সেন্ড করতে হয় না। তাই বলা যায় বাইরের দেশের সাথে আর্থিক লেনদেন বা ডলার এক্সচেঞ্জ এর জন্য পেপাল একাউন্ট অত্যন্ত জরুরী। যা বাংলাদেশে ব্যবহার করার জন্য কিছু কৌশল ও নিয়মে ভেরিফাই করতে হয়।
এছাড়া পেপাল একাউন্ট থাকার ফলে আমরা মনে করি ফ্রিল্যান্সাররা অতি সহজে ভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টের কাছ থেকে নিজেদের পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া পেপাল কর্তৃপক্ষ তাদের পেপাল একাউন্ট  ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা করে থাকে। এক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করার দ্বারা যদি কোন কেনাকাটার সমস্যা দেখা যায় তাহলে পেপালের কর্তৃপক্ষ সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ রিফান্ড করে থাকে। যার দ্বারা পেপাল ব্যবহারকারী একজন ব্যক্তি তার আর্থিক দিক থেকে সম্পূর্ণভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন। এই বিষয়ে আমি দেখেছি আমার এক পরিচিত ভাইয়ের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছিল। যার ফলে পেপাল কর্তৃপক্ষ তার সম্পূর্ণ অর্থের রিফান্ড করে দেয়। তাই সংক্ষেপে আমরা বলতে পারি দ্রুত লেনদেন ও আর্থিক গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। যে বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত। 

পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার কারণ

অনলাইন ব্যাংকিং পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার গাইড অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম জানা থাকলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টাকা ও ডলার তোলা সম্ভব। পেপাল একটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল বেষ্টিত অনলাইন সার্ভিস। যা আমেরিকান একটি কোম্পানির দ্বারা হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক বাইরের দেশের অর্থের ট্রানস্ফার করার ক্ষেত্রে বা বাইরের দেশের ক্লায়েন্টের সাথে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পেপাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকে। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে পেপাল একাউন্টের বৈধতা আছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পেপাল একাউন্ট ব্যবহারের বৈধতা নেই। যার জন্য একজন ব্যক্তির নিজের প্রয়োজনে বা ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেন বাইরের দেশের ক্লায়েন্টের সাথে করার ক্ষেত্রে সরাসরি পেপাল একউন্ট ব্যবহার করতে পারেন না।
পেপাল-একাউন্ট-ভেরিফাই-করার-কারণ
এই ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু কিছু ব্যক্তির বিভিন্ন দেশে আত্মীয়-স্বজন অথবা পরিচিত বন্ধু রয়েছে। তখন তারা তাদের সাহায্যে পেপাল একাউন্ট খুলে তা ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি ভার্চুয়াল মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করেন। তবে যদি একাউন্ট ভেরিফাই করা না হয় তবে যেকোনো সময় পেপাল কর্তৃপক্ষ সেই একাউন্টটি ডিলিট করে দিতে পারে বা ডিজেবল করে দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে পেপাল একাউন্ট একবার ডিলিট বা ডিজেবল করে দিলে তা আর তা সক্রিয় করা সম্ভব হয় না। কেননা যখন একজন ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে অর্থাৎ নিজ দেশ থেকে লুকোচুরি করে পেপাল একাউন্ট খুলেন তখন তা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

এই ক্ষেত্রে যেহেতু পেপাল একাউন্ট একজন ফ্রিল্যান্সার বা ব্যবসায়িক এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি একাউন্ট সে ক্ষেত্রে কেউই চাইবে না তার এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টটি ডিজেবল বা ডিলিট হয়ে যাক । কেননা একজন ব্যবসায়ীক বা ফ্রিল্যান্সার যিনি বিদেশের কোন ক্লায়েন্টের সাথে আর্থিক লেনদেন করেন তাদের কাছে পেপাল একাউন্টটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস। যার তারা তারা খুব সহজেই ভিন্ন দেশের অর্থ বা ডলার নিজ একাউন্টে খুব সহজে এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারে। তাই গুরুত্ব বিবেচনার দিক থেকে পেপার একাউন্ট ভেরিফাই করা অত্যন্ত জরুরী।
পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার পূর্ব শর্ত

আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং বাজারে পেপাল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুবিধামন্ডিত একটি বিশেষ আমেরিকান সার্ভিস সেন্টার। যার দ্বারা একজন ফ্রিল্যান্সার বা একজন ব্যবসায়ী বাইরের দেশের ক্লায়েন্টের সাথে আর্থিক লেনদেন করতে পারে। তবে যেহেতু বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট ব্যক্তিগত কারণে ব্যবহার করার অনুমতি নেই। এর সত্বেও অনেকেই কিছু ট্রিক্সের মাধ্যমে তাদের paypal অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার কিছু পূর্বশর্ত রয়েছে। যার প্রথমে রয়েছে ইমেইল ভেরিফিকেশন। এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম একটি ইমেইল একাউন্ট থাকা লাগবে। কেননা পেপাল একাউন্ট খোলা ও ভেরিফিকেশন এর জন্য প্রায় প্রতিটি ধাপেই ইমেইল কনফার্মেশন এর প্রয়োজন হবে। এছাড়াও প্রয়োজন হবে একটি বৈধ মোবাইল নম্বরের।

কারণ মোবাইল নম্বরে এসএমএস এর মাধ্যমে পেপাল একাউন্ট কর্তৃক কোড পাঠানো হবে এবং সেই কোড কনফার্ম করে পেপাল একাউন্টে ভেরিফাই করা হবে। একটি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হতে হবে। সরকারিভাবে স্বীকৃত পরিচয় পত্র যেমন এনআইডি বার ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। কেননা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত এই ধরনের পরিচয় পত্র ব্যতীত পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করা সম্ভব নয়। এছাড়া পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই এর জন্য সঠিক ঠিকানা সঠিক তথ্য দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কেননা পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই এর ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য বা সঠিক ঠিকানা না দিলে পরবর্তীতে পেপাল অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন এর সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে। আর পেপাল অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই এর সময় যদি কোনো রকম জটিলতা দেখা দেয় তাহলে পরবর্তীকালে পেপাল একাউন্ট ডিলিট বা ডিজেবল হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।

পেপাল একাউন্ট করতে পারবে যারা

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আর এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে পেপাল হল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর ও বিশ্বস্ত সার্ভিস সিস্টেম। যেটা আর্থিক লেনদেন বা অর্থ ট্রান্সফারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যেন একজন ব্যক্তি নিজ দেশে অবস্থান করে বাইরে দেশের অর্থ নিজ একাউন্টে সরাসরি ট্রান্সফার করে নিতে পারে। তবে এই সার্ভিসটি সবাই ব্যবহার করতে পারে না। এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান বা নির্দিষ্ট কোন এক ব্যক্তি আর্থিক লেনদেনের জন্য পেপাল একাউন্ট খুলে থাকেন বা ব্যবহার করতে পারেন। জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট সহ বৈধ পরিচয় পত্রের দ্বারা নিজের পরিচয় সত্যায়িত করে থাকেন শুধুমাত্র তারাই পেপাল একাউন্ট খুলে ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া যাদের বৈধ ইমেইল ঠিকানা আছে এবং যারা আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ভিসা বা মাস্টার কার্ড এর মতন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড আছে তারা পেপাল একাউন্ট খুলে তা ব্যবহার করতে পারবেন। আবার বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট সরাসরি ব্যবহার করা বৈধ নয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবস্থানরত বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার বা ব্যবসায়িক যিনারা বাইরের দেশের ক্লায়েন্ট বা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে তারা কিছু কৌশল অবলম্বন করে পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার এই সেবাটি গ্রহণ করতে পারে। যার মাধ্যমে বৈদেশিক ক্লায়েন্ট এর সাথে বা প্রতিষ্ঠানের সাথে আর্থিক লেনদেন করা যায় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে কোন অর্থ প্রদান ব্যতীতই নিজ একাউন্টে ডলার ট্রান্সফার করা যায়। সুতরাং বলা যায় স্বীকৃত ও বৈধ পরিচয়পত্র রাখে এবং বৈধ ইমেইল এড্রেস আছে তারাই পেপাল একাউন্ট সরাসরি ব্যবহার করতে পারবে অথবা পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করে ব্যবহার করতে পারবেন।

অর্থাৎ আমি মনে করি, যাদের মধ্যে অনলাইন লেনদেনের আগ্রহ আছে এবং যারা আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এমন ব্যক্তিরা পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া যারা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বাইরের দেশের ক্লায়েন্টের কাছে নিজের পণ্য বা সেবা দান করে তারাও খুব সহজেই পেপাল একাউন্ট খুলে তা ভেরিফাই এর মাধ্যমে নিজেদের আয় গ্রহণ করতে পারবেন। একইভাবে যেসব ব্যক্তি অনলাইনে বিদেশে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন বা আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সাইট গুলোতে নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে চান বা অন্যের পণ্য কিনতে চান তাদের জন্য পেপাল একাউন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে বা ডলার নিজের একাউন্টে ট্রান্সফর্মেশন এর জন্য।

তবে ভাই পেপাল একাউন্ট খোলা বা ভেরিফাই করা খুব একটা সহজ কথা নয়। এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। এগুলোর মধ্যে সাধারণত রয়েছে ব্যবহারকারীর বয়সের বৈধতা, ব্যবহারকারীর বৈধ এনআইডি কার্ড, বৈধ মোবাইল নাম্বার এছাড়া বৈধ ইমেইল ঠিকানা। এর সাথে আরো প্রয়োজন আন্তর্জাতিকভাবে টাকা আদান প্রদানের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য ব্যাংক একাউন্ট। এই সকল বিষয়ের শর্তসমূহ পূরণ করে মাধ্যমে একজন ব্যক্তি খুব সহজেই একটি পেপাল একাউন্ট খুলে ভেরিফাই করে তা আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে।

আমি মনে করি পেপাল পেয়ে ব্যবহার করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল যেসব ব্যক্তি নিজ দেশে থেকে ভিন্ন দেশের অর্থ বা ডলার নিজের একাউন্টে নিয়ে আসতে চান তাদের জন্য পেপাল একাউন্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যা আন্তর্জাতিকভাবে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রত্যেক ওই ব্যক্তি যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন বা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে বাইরের দেশ থেকে অর্থ উপার্জন করে নিজের একাউন্টে নিতে চান তাদের জন্য পেপালপে একাউন্ট ভেরিফাই করে ব্যবহার করা অত জরুরী। 

পেপাল একাউন্টে ডলার আনার নিয়ম

পেপাল একাউন্টে ডলার আনার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে । তবে পেপাল একাউন্টে ডলার আনার সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো গুগল। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে ডলার আনা পুরোপুরি স্বীকৃত নয় বা বৈধ নয়। তবুও বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার বা অনলাইনে যারা অর্থ উপার্জন করে তারা প্রত্যেকেই নিজেদের পেমেন্ট পেপাল একাউন্টে নিতে পারেন। পেপাল একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। যার মাধ্যমে ডলার আনা যায়।

এক্ষেত্রে পেপালে ডলার আনার জন্য পেপাল একাউন্ট খুলতে হবে এবং এরপরে যে মার্কেটপ্লেস বা প্রতিষ্ঠান থেকে ডলার পাওয়া যাবে যেমন Fiverr, Upwork, freelancer, YouTube /AdSense ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম গুলোতে গিয়ে সেখানে পেপাল একাউন্টের সাথে লিংক আপ করতে হবে। এবার সেখানে পেপাল একাউন্ট এর ইমেইল যুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্লায়েন্টকে পেপাল ইমেইল এড্রেস দিয়ে খুব সহজে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবে। আর অপরদিক থেকে পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি ক্লায়েন্ট নিজের পেমেন্ট করতে পারবে। পেমেন্ট আসলে ইমেইল এ রিয়েল টাইম নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে এবং অ্যাকউন্ট ব্যালেন্সে ডলার যুক্ত হবে। ক্লায়েন্টকে পেপাল ইমেইল দিলে ক্লায়েন্ট পেপাল একাউন্টে পেমেন্ট করতে পারবে বা ডলার পাঠাতে পারবে। সুতরাং পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার গাইড বিষয়ে জানা থাকলে অবশ্যই কাজ করা সহজ।

স্থানীয় ব্যাংক থেকে পেপালের ডলার উত্তোলন করার নিয়ম

স্থানীয় ব্যাংক থেকে পেপালের ডলার উত্তোলন করা অত্যন্ত সহজ একটি নিয়ম। একজন সাধারণ ব্যক্তি কোনভাবে তার একাউন্টে সরাসরি ডলার আনতে পারে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি তৃতীয় পক্ষ ব্যবহার করতে হয়। যদি কেউ বৈধ পথে ডলার আনতে চায় তাহলে তাকে অনেক ছোটাছুটি করতে হবে যেমন পাসপোর্ট, ভিসা কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে। তারপরেও আনতে পারবে কিনা এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। এক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যাংকের ডলার উত্তোলন করার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে

ব্যাংক ট্রানস্ফার: এখানে একজন ব্যক্তিকে তার পেপাল একাউন্টে লগইন এর মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। পেপাল একাউন্টে লগইন এরপরে উইথড্র অপশনে ক্লিক করে লিংকে ব্যাংক একাউন্ট সিলেক্ট করে সেখানে যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। এরপর পেপাল কর্তৃপক্ষ দ্বারা ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট ভেরিফাই করা হবে। ভেরিফাই করা সম্পন্ন হলে উইথড্র ব্যাংক একাউন্ট অপশনে ক্লিক করে ডলার ট্রান্সফার করা যাবে এবং একাউন্টে ডলার জমা হয়ে যাবে।
স্থানীয়-ব্যাংক-থেকে-পেপালের-ডলার-উত্তোলন-করার-নিয়ম
এটিএম ব্যবহার: paypal অ্যাকাউন্ট থেকে ডলার উত্তোলনের অন্যতম একটি সেরা মাধ্যম হলো এটিএম ব্যবহার। এর জন্য প্রথমে পেপাল একাউন্ট এর সাথে আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড এর লিংক যুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে পেপাল একাউন্টের সাথে কার্ডের লিং সম্পন্ন হলে পেপাল কর্তৃপক্ষ কার্ডটি ভেরিফাই করবে। কাট্টি ভেরিফাই করা হয়ে গেলে এটিএম ব্যাংক থেকে ডলার উত্তোলন করা যাবে। তবে অবশ্যই এটিএম ব্যাংক থেকে ডলার উত্তোলনের জন্য ব্যক্তির কার্ডটি স্থানীয় ব্যাংকের মাস্টারকার্ড বা ভিসা নেটওয়ার্কের অধীনস্থ থাকতে হবে। এভাবে এটিএম কার্ডটি একবার লিংকআপ হয়ে গেলে যেকোনো সময় এটিএম এর সাহায্যে ডলার উত্তোলন করা যাবে।

পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করার সুবিধা

সম্পূর্ণ বিশ্বজুড়ে এখন অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার বা ব্যবসায়িক তাদের আর্থিক ট্রানজেকশন এর জন্য পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করছে। পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার গাইড লাইন জানা থাকলে এই ফ্রীলেন্সিং করে টাকা তোলা যায় সহজে। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ যারা এক দেশ থেকে অন্য দেশের ট্রানজেকশন করার প্রয়োজন বোধ করে তারা এখন পেপাল একাউন্ট ব্যবহারের প্রতি বেশি আগ্রহ পোষণ করছে। কারণ এটি একটি ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি খুব সহজেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টের সাথে তার আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন।

অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট ট্রানজেকশন এর একটি অন্যতম কার্যকর ও অধিক গ্রহণযোগ্যতা সম্পন্ন একটি উপায় হলো পেপাল একাউন্ট এর ব্যবহার। অন্যান্য যেকোনো পেমেন্ট ট্রানজেকশন সিস্টেম এর থেকে পেপাল অধিক সুবিধাজনক । এছাড়া পেমেন্ট ট্রানজেকশন এর ক্ষেত্রে পেপল থেকে এক নিশ্চিত সুরক্ষা পাওয়া যায়। মানি ট্রানজেকশন এর ক্ষেত্রে‌ কোন ধরনের অসুবিধা দেখা দিলে বা কোন সমস্যা হলে পেপল নিশ্চিত রিফান্ড দিয়ে থাকে।

যেকোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে পেপাল অতি দ্রুততার সাথে কাজ করে থাকে। এর জন্য শুধুমাত্র হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করলেই হয়। এদিক থেকে পেপাল একাউন্ট এর মাধ্যমে ট্রানজেকশন করার জন্য কোন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার টাইপ করতে হয় না।

শেষ কথা

পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করার গাইড সম্পর্কে আমার মতামত দিলে আমি বলবো বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে থাকে। এক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের জন্য প্রত্যেকেই একটি নিরাপদ ও বিশ্বস্ত মাধ্যম চাই। এদিক থেকে আমরা দেখে থাকি বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার অথবা অনলাইন ব্যবসায়ীরা তাদের ক্লায়েন্ট হিসেবে বাইরের দেশগুলো থেকে নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ধরে থাকে। এবং সেসব বাইরের ক্লায়েন্টের কাছ থেকে তারা সেবা বা পণ্য দেয়ার মাধ্যমে অর্থ বা ডলার উপার্জন করে থাকে। কিন্তু সেই অর্থ বা ডলার তারা সরাসরি নিজের একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারে না। এক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে শীর্ষে যেই সেবাটি সেটি ব্যবহার করে থাকে। আমাদের প্রত্যেকের মতেই পেপাল একাউন্টি একমাত্র মাধ্যম যা অতি দ্রুততার সাথে খুব সহজে কাজ করে থাকে। তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পেপাল একাউন্ট সরাসরি ব্যবহার করার বৈধতা নেই।

যার জন্য আমি মনে করি অনেক ফ্রিল্যান্সার বা অনলাইন ব্যবসায়িক তাদের উপার্জিত অর্থ বা ডলার নিজ একাউন্টে ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রে কিছুটা বিপাকের মধ্যে পড়ে থাকে। এদিক থেকে লক্ষ্য করা যায় বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার বা ব্যবসায়িক যারা অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সাথে সরাসরিভাবে সম্পৃক্ততা রাখে তারা পেপালে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে তা কিছু ধাপ অনুসরণ অনুকরণ এর মাধ্যমে ভেরিফাই করে থাকে। এবং এই ভেরিফাই করার মাধ্যমে তারা পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করে ভিন্ন দেশের অর্থ বা ডলার নিজ একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারে। কারণ তারা যদি তাদের পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই না করে তবে তারা বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুন হয়। যেমন আমরা দেখতে পাই পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই না করার কারণে টাকা পাঠানো বা তোলার ক্ষেত্রে তারা টাকার পরিমাণ, নিরাপত্তা জনিত সমস্যা এমনকি একাউন্ট ডিজেবল হয়ে যাওয়ার মত সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়।

কিন্তু কেউ যদি আমার দেয়া এই পেপাল অ্যাকাউন্ট  ভেরিফাই করার গাইড ফলো করে তবে সে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই সম্পর্কে ধারণা পাবে। যার  মাধ্যমে ওইসব ব্যক্তি যারা অনলাইনে ব্যবসা করে অথবা ফ্রিল্যান্সিং করে বিদেশ থেকে নিজের একাউন্টে  অর্থ বা ডলার ট্রানস্ফার করতে চাই তারা খুব সহজে এটি করতে পারবে। আমার মতে সবথেকে বড় কথা হলো পেপাল ভেরিফাই করা একাউন্ট ব্যবহার অনলাইন আয়ের জন্য এক ধরনের নিরাপদ সনদ হিসেবে কাজ করে থাকে। যা যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্র বা মার্কেটপ্লেসে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি এনে দেয় নিজের একাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ শেষ কথা হিসেবে বলতে পারি পেপাল ভেরিফাই একাউন্ট ব্যবহার করে কাজ করা সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ। 

250812

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url