আখের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা - গরমে বাঁচার গোপন অস্ত্র

গরমে আখের রসের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা আছে। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় এ আখের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা। মূলত এটি আমাদের দেশের একটি প্রাকৃতিক পানীয় খাবার। এটি বিভিন্নভাবে শরীরকে সাহায্য করে থাকে। ক্লান্তি দূর করতে, হজম শক্তি ঠিক রাখতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে এই রসের ভূমিকা অনেক। আমরা এই আখের রসকে কুসুরের রসও বলে থাকি। আমাদের দেশের এটি একটি বহু পরিচিত খাবার। এই বিষয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব কিছু উপকারিতা ও অপকারি।

পেজ সূচিপত্রঃ আখের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা

  • আখের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা ।
  • আখের রস সংরক্ষন ও তৈরি ।
  • আখের রস কখন খাওয়া উচিত ।
  • আখের রস খাওয়ার নিয়ম ।
  • আখের রসের পুষ্টিগুণ ও ক্যালরি ।
  • মেশিনে যেভাবে আখ থেকে রস বের করা হয় ।
  • লিভেরের জন্য আখের রসের প্রয়োজনীয়তা  ।
  • আখের রসের অপকারিতা ।
  • সর্বশেষ ।  

আখের রসের উপকারিতা ও অপকারিতাঃ

আখ বা আখের রস হল প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটার। এটি শুধু আমাদের তৃষ্ণা নিবারন করে না। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা বহন করে। আখের রসে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং জন্ডিস  এর মত বড় ব্যাধি নিরাময়ে অনেক অবদান রাখে। এতে আন্টি অক্সিডেন্ট  এর উপস্থিতি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।এছাড়াও প্রতিদিন যদি আখের রস পান করা যায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা একদম কম থাকে, যা আপনাকে হৃদরোগ থেকে একবারে মুক্তি করে। আবার শরীরে উচ্চ মাত্রার জ্বর কেবলমাত্র ফেব্রাই ডিসঅর্ডারের কারণে হয়ে থাকে। এই গোত্রের জ্বর শরীরের অবস্থিত প্রোটিনের প্রচুর পরিমাণে ঘাটতি সৃষ্টি করে। হ্যাঁ, একমাত্র আখের রসই পারে প্রোটিন আপনার শরীরে পুনরাই ফিরিয়ে দিতে। গরমের দিনে বা অনেক কাজের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে আমাদের শরীরের অনেক এনার্জি কমে যায়। তৎক্ষণাৎ এনার্জি ফিরিয়ে আনতে আখের রস সহযোগিতা করে।
আখের রস থেকে যেহেতু চিনি তৈরি হয়, এটি একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। অতএব এটা বলা খুবই সহজ, যে আখের রস যাদের ডায়াবেটিক্স রয়েছে , তাদের মোটেই খাওয়া উচিত নই। ওভার-ওয়েট এবং অবাসিটি মত রোগে যারা ভুগছেন! সেক্ষেত্রে যেমন আখের রস খাওয়া উচিত নই , তার সাথে সাথে আপনি যদি আপনার ওজন কম করতে চাইছেন ঠিক সেক্ষেত্রেও আখের রস খাওয়া উচিত নই। অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি জাতীয় খাবার, আপনার লিভারকে অতিরিক্ত মাত্রাতে এল ডি এল বা খারাপ কলেস্টরাল তৈরিতে বাধ্য করে দেই। এবং খারাপ কলেস্টরালের সাথে সাথে আমাদের রক্তে আইচ ডি এল বা ভালো কলেস্টরালের মাত্রা কমে যায়। এছাড়া এই আখের রস আপনার রক্তে ট্রায়গ্লেসারাইড এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি নিয়মিতভাবে রক্ত পাতলা করার মেডিসিন খাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আপনি আখের রস খাবেন কিনা এটা আপনার চিকিৎসক এর কাছে পরামর্শ করে নিবেন। আপনি যদি একজন ক্রনিক কিডনি রোগের পেসেন্ট হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আখের রস আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে খাওয়া উচিত। বাকি যারা আছেন সকলেই নির্দ্বিধাই আখের রস খান।

আখের রস সংরক্ষন ও তৈরি

ঘরে বসে কিভাবে আখের রস তৈরি করা যায় এ বং তা সংরক্ষন করা যায় সেটা নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করব। কারন আমরা বাইরে যে আখের রসটা কিনে খাই তা একবারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় যা আমাদের শরীরের জন্য একদমই ভালো নই। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে কিভাবে আখের রস তৈরি করা যায়। প্রথমত আখকে ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। বাসা বাড়িতে দা , বটি অবশ্যই থাকে সেগুলো দিয়ে এই আখকে টুকরো করে নিতে হবে। সেগুলো দিয়ে খুব সহজে ছোট ছোট টুকরো করা যাবে। তারপর এই আখের টুকরো গুলোকে বিলিন্ডারে ঢেলে নিতে হবে, দুই কাপের মত পানি দিতে হবে। এবার একটা লেবুকে অর্ধেক কেটে সেইটা চিপে নিতে হবে। লেবুতে রসের স্বাদটা ভালো পাওয়া যায়। তারপর বিলিন্ডারে সে টুকরো গুলো ভালভাবে রসে পরিনত করে ফেলতে হবে। কিছুটা ঘন থাকবে কারন তাতে ছাল বাকলা থাকবে। রস হয়ে যাওয়ার পরে চা ছাকনি দিয়ে শুধুমাত্র রসটা  ফিল্টারিং করে নিতে হবে। বাকি সে ছাল বাকলা গুলো চামুচ দিয়ে চিপে চিপে বাকিটুকু রস বের করে নিতে হবে।
এছাড়াও রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ভেন নিয়ে অনেকে আখের রস বিক্রি করে। তারা মেশিনে আখ পিষে সেখান থেকে রসটা বের করে। অনেকে আছে রসের সাথে বরফ ও দিয়ে থাকে যা ক্রেতাদের খাইতে আরামপ্রদ করে তোলে। যার জন্য তারা প্রতি গ্লাস বিক্রি করে ২০ টাকা।

আখের রস কখন খাওয়া উচিত

আখের রস আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় পুষ্টিকর পানি জাতীয় খাবার। বিশেষ করে গরমের দিনে এই আখের রসের চাহিদা বেশি। বিভিন্ন পাড়া মহল্লা বাজারে এই আখের রস নিয়ে বহু মানুষ ব্যবসা করে।  কারন এই আখের রসে রয়েছে পুষ্টিতে ভরপুর। গরমে শরীরে ডিহাইড্রেটের সমস্যা দেখা দিলে আখের রস খাওয়ার পরামর্শ অনেকে দেয়। আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, লোহ, আয়রন ইত্যাদি। আখের রস খাওয়ার কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। আখের রস কখন খেতে হয় কোন সময় খেতে হয় সেটি অনেকের জানে না যার জন্য অনেকে অনেক অসুস্থতার সম্মুখীন হয়। এটি সঠিক সময় খেলে যেরকম শরীরের উপকারে আসে, ঠিক অসময় খাইলে অনেক সময় শরীরে ক্ষতি ও হয়।
আমাদের মধ্যে এরকম অনেকের রয়েছে যারা সকলে ঘুম থেকে উঠে আখের রস খায়। যা শরীরের পক্ষে একদমই অনুপযোগী। এই আখের রস সকালে খালি পেটে পান করলে রক্তের শর্করা পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এটি বিশেষ করে ক্ষতিকর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। ডায়াবেটিস রোগীদের আখের রস খাওয়ার কিছু নিয়মাবলী ও নির্ধারিত সময় রয়েছে। অসময়ে আখের রস পান করা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বিপদজনক হতে পারে। শুধুমাত্র ডায়াবেটিকস রোগীদের উদ্দেশ্যেই বলবো না সকলের উদ্দেশ্যেই একটি নির্দেশনা দেওয়া, খালি পেটে কখনোই আখের রস পান করা উচিত না।
আখের রস পান করার সঠিক সময় হল দুপুর থেকে বিকাল এই সময়ের মধ্যে। সকালে কাজকর্ম করে অনেকে ক্লান্ত থাকে এবং শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। তাই দুপুরে খাবার খাওয়ার 30 মিনিট আগে অথবা ৩০ মিনিট পূর্বে আখের রস পান করা উচিত। খাবারের সাথে সাথে পান করলে হজমের সমস্যা দেখা যায়। আখের রসে যেমন বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে ঠিক তেমনি আখের রস খাবার হজমে খুবই উপযোগী। গরমের দিনে যারা বাইরে কাজ করে এবং রৌদ্রে অনেকক্ষণ কাজ করে তাদের জন্য আখের রস অত্যন্ত উপযোগী। আখের রস শরীরে শক্তি যোগান দেয়। গরমের দিনে কাজ কাম করে যখন শরীরের শক্তি কমে আসে তখন আখের রস শরীরের তৎক্ষণাৎ শক্তির যোগান দেয়। এবং পুনরায় কাজ করার প্রফুল্লতা শরীরে নিয়ে আসে। তাই আখের রস আপনার জন্য হতে পারে একপ্রকার রিফ্রেশমেন্ট।

আখের রস খাওয়ার নিয়ম

আখের রস আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় পানি জাতীয় খাবার। বর্তমানে বাজারের বিভিন্ন জায়গায় আখের রসের ব্যবসা অনেকে করে। আখের রস শুধুমাত্র সুস্বাদু রস নয় বরং একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ পানীয় খাবার। গরমের সময় দুপুরের কড়া রোদ্রের তাপে যখন শরীরের সকল শক্তি কমে যায় এবং শরীরের পানি শূন্যতা দেখা যাই, তখন আখের রস শরীরের পানি শূন্যতা কমিয়ে দেয় এবং শরীরকে করে তুলে সতেজ। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আখের রস খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং সঠিক সময় জানে না, যার কারণে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। আখের রস গরমে যেমন উপকারী খাবার হয়ে থাকে, ঠিক তেমন অসময়ে আখের রস পান করলে শরীরের অনেক ক্ষতিও হয়।
আখের রস খাওয়ার সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রস যদিও পুষ্টিকর, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটির অপকারিতা রয়েছে। আখের রস আবার সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। বিশেষত্ব এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আখের রস রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ, যার রক্তের শর্করা বাড়িয়ে দেয়। তাই সকালে খালি পেটে আখের রস খাওয়ার বিশেষ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিশেষভাবে ডায়াবেটিস রোগী ও ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নিয়ম মেনে আখের রস পান করা উচিত। আখের রস যদিও শরীরের শক্তি বাড়ায়, কিন্তু খালি পেটে খেলে এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকায় রক্তের  পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। সুতরাং আমাদের উচিত আখের রস খাওয়ার আগে কিছু খেয়ে তারপরে আখের রস খাওয়া।

আখের রসের পুষ্টিগুণ ও ক্যালরি 

আখের রস শুধুমাত্র পানীয় জাতীয় খাবার নয় , বরং এতে আছে পুষ্টির ভরপুর। আখ থেকে বের হওয়া রস একবারে খাটি, এতে কোন চিনির সংমিশ্রণ নাই। আখের রসে মূল যে উপাদান থাকে সেটা হচ্ছে সুক্রোজ। এটি খুব তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয় এবং শক্তি সরবরাহ করে। প্রতি ১০০ মিলি আখের রসে আছে ৫০-৭০ ভাগ ক্যালরি। গরমে শরীর থেকে যখন শক্তি কমে যায় তখন এই শক্তির ঘাটতি এই রস দূর করে।  অর্থাৎ প্রতি ২৫০ মিলি ( এক গ্লাস ) রসে ১৩০-১৭০ ক্যালরি থাকে। তাই আমাদের উচিত রোজ নিয়ম করে এক গ্লাস আখের রস খাওয়া।
এই আখের রসের শুধু স্বাদের দিক থেকে সেরা নয় বরং পুষ্টিগুনে ও আখের রস শক্তির উৎস। এতে ক্যালরির সাথে সাথে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানও আছে। যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় ও দাতকে করে মজবুত। এদের গঠন ঠিক রাখতে আখের রস ভুমিকা রাখে। ম্যাগনেসিয়াম শরীরের মাংসপেশি সতেজ ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। আয়রন শরীরের রক্তের শূন্যতা দূরে করে। পটাসিয়াম শরীরের রক্তচাপটা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি কোষের গঠন ঠিক রাখে। অনেকের শরীরের কোষ নষ্ট বা মরে যায়, এই কোষ সক্রিয় রাখতে আখের রসের ভুমিকা অনেক।
গ্রীষ্মকালে গরমে আমাদের শরীর যে পরিমান ঘাম বের হয় তাতে শরীর থেকে সোডিয়াম ও  ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি দেখা যায়। আখের রস পান করার ফলে পুনরাই শক্তি ফিরে আসে। এই রস শরীরে হাইড্রোজেন সঠিক মাত্রাই ধরে রাখতে সাহায্য করে। 
মোটামোটি ভাবে আখের রসের দ্বারা আমাদের শরীরে শক্তি বিভিন্নভাবে আসে। এই রস যেমন শরীরে সতেজতা নিয়ে আসে ঠিক তেমনি শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। 

মেশিনে যেভাবে আখ থেকে রস বের করা হয় 

আখ থেকে রস বের করার নিয়ম জানার আগে আমাদের প্রথমে একটি টাটকা আখ প্রয়োজন। কারন পরিস্কার টাটকা আখ না হলে সেটা থেকে যে রস বের করে খাওয়া হবে সেটা প্রকৃতপক্ষে অস্বাস্থ্যকর। এই অস্বাস্থ্যকর রস পান করলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। আমরা যে আখ বাজার থেকে কিনে থাকি সেটা মূলত রাস্তার পাশে থেকে কেটে নিয়ে আসা হয়। সেটা ভালোভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে। অনেকে ফরমালিন দিয়ে আখ চাষ করে। সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
এসব আখ থেকে রস বের করতে হলে আগে আখের ডালগুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। কারন অনেক আখ মোটা হয়। সেগুলো টুকরো করে নিলে মেশিনে ডাল থেকে রস বের করতে সুবিধা হয়। বর্তমানে আমাদের শহরে বাজারে বিভিন্ন জায়গাই আখের রসের দোকান দেখা যাই। কিছু কিছু দোকানদার স্টেইনলেস স্টিল মেশিনে আখের রস বানায় আবার অনেকে হাতে চালানো মেশিনে রোলারে রস তৈরি করে। যদিও রোলার থেকে মোটর চালিত মেশিনে রস তাড়াতাড়ি বানানো যায়। এই মেশিনে আখের টুকরোগুলো দুই লোহার রোলারের মাঝে ঢুকাই দেওয়া হয়। এই লোহার রোলারগুলো এতোই শক্ত যে আখের ডাল চেপে রস বের করে দেয়। এটাকে " প্রেসিং " বলে। তারপর সে রস যেয়ে জমা হয় মেসিনের নিচে থাকা ট্রে তে। সকল আখ থেকে যখন রস বের করে নেওয়া হয়। তারপর সেটাকে ফিল্টারিং করে নেওয়া হয়। শেষে যেয়ে আখের রস বানানো শেষ হয়। 

লিভেরের জন্য আখের রসের প্রয়োজনীয়তা

লিভার মানুষের শরীরের একটি অন্যতম অঙ্গ, যা ঠিক মানে সে মানুষ সুস্থ। আমাদের প্রতিদিন খাবারে তালিকায় এক গ্লাস আখের রস যোগ করলে শরীর ও লিভার সুস্থ ও সবল থাকবে। মহামারী অসুখের তালিকায় হেপাটাইটিস একটি। এই রোগ ও জন্ডিসের মত অসুখের প্রতিরোধ অস্ত্র হিসেবে এই আখের রস কাজ করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে আখের রস যেন পরিস্কার ও স্বাস্থ্য সম্মত হয়। নাহলে তা আরও ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াবে। 
আখের রসের উপকারিতা লিভারের ক্ষেত্রে অনেক বেশি। যারা হেপাটাইটিস, জন্ডিস এবং ফ্যাটি লিভারের মত বড় বড় অসুখে ভুগছেন। তাদের জন্য আখের রস হতে পারে একটি উপকারী খাবার। এতে আছে আন্টি অক্সিডেন্ট, শর্করা ও খনিজ জাতীয় পদার্থ। যা লিভারকে করে পরিস্কার ও কার্যকারী। এছাড়াও শরীরের কোষের গঠন ঠিক রাখে, রক্তের চাপ ও মাত্রা দুটোই স্বাভাবিক করে।
সুতরাং যারা লিভারের সমস্যাই ভুগছেন তাদের জন্য আখের রসই বেস্ট।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url