লিংকডইন প্রোফাইল অপটিমাইজ

টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া ৭ টি উপায় PCOS নিরাময় করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে এখন অনেকেই জানেনা। যেহেতু এই PCOS সমস্যাটি একটি অত্যন্ত ভয়াবহ সমস্যা। সেজন্য আজকে আমি আপনাদের এই আর্টিকেলে এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানাতে চলেছি। যা আপনার জন্য অনেক উপকৃত হবে।

PCOS-নিরাময়-করার-ঘরোয়া-পদ্ধতি

সেই জন্য PCOS সম্পর্কে নারী-পুরুষ সকলেরই জানা উচিত। তাই সকলের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে আমি আমার এই পোস্টে PCOS সম্পর্কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করছি।

পেজ সূচিপত্র:PCOS নিরাময় করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা

PCOS নিরাময় করার ঘরোয়া পদ্ধতি

PCOS নিরাময় করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে এখনও অনেকেই জানেনা। কারণ তারা এই সমস্যাটি সম্পর্কে অতটা জ্ঞান তারা রাখে না। কিন্তু PCOS একটি অত্যন্ত ভয়াবহ ও জটিল সমস্যা। যা একজন নারীর দৈনন্দিন সুস্থ জীবন যপনের মান কে এক ভয়াবহ ও চরম পরিণতিতে নিয়ে আসতে পারে। তাই এই সমস্যাটি শুরুতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিরাময় করা প্রয়োজন। নিচে PCOS সমস্যাটি নিরাময় করার ঘরোয়া পদ্ধতি দেওয়া হলো:-

পদ্ধতি ১. দৈনিক খাদ্যাভাসে পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য বজায় রাখা 

বিভিন্ন রকমের পুষ্টিকর খাদ্য ও সুষম খাদ্য PCOS রোগের চিকিৎসা বা নিরাময়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কেননা সঠিক শরীরের সঠিক পুষ্টি না পেলে এই সমস্যাটি নিরাময়ের জন্য কার্যকরী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মাবে না। তাই নিয়মিতভাবে পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য খেতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার পরিমাণে কমিয়ে দিতে হবে। সমস্ত রকম প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্ষণ করতে হবে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছের তেল নিয়মিত খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে প্রদাহ বিরোধী খাবার যেমন ভূমধ্যসাগরীয় খাবার, জলপাইয়ের তেল, টুনা মাছ, শাক, গাছের বাদাম এসব যুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিনের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে তাতে বিভিন্ন রকম পুষ্টিকর ও সুষম খাবার যুক্ত করতে হবে। তাহলে PCOS সমস্যাটি অনেকাংশের ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান হয়ে যাবে। 

পদ্ধতি ২. নিয়মিত PCOS এর ব্যায়াম করা

মানবদেহকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত বা নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা একটি অন্যতম সেরা পদ্ধতি। এক্ষেত্রে একজন পুরুষের জন্য প্রতিনিয়ত ব্যায়াম যতটা প্রয়োজনীয় তার থেকে অধিক পরিমাণে প্রয়োজন একটি PCOS রোগে আক্রান্ত নারীর জন্য প্রত্যেকদিন নিয়মিত ব্যায়াম করা। কেননা প্রতিনিয়ত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত চাপ কম হয়।

এছাড়া দুশ্চিন্তা  উদ্বিগ্নতা ও ওজন বাড়ার মতো সমস্যাগুলো  খুব সহজেই দূর করা যায়। আর এর মাধ্যমে এই POSC নামের ভয়াবহ সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। তাই একজন নারী যিনি কিনা PCOS রোগে আক্রান্ত তার জন্য প্রতিনিয়ত শারীরিক ব্যায়াম করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ধাপ ৩. দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম

একজন PCOS রোগে আক্রান্ত নারীর জন্য সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হলো অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও বিঘ্নতা। আর এই মানসিক চাপ ও বিঘ্নতা কমানোর সবচেয়ে সেরা মাধ্যম হলো নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো। কেননা নিয়মিত ঘুম একজন ব্যক্তির দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা ও বিভিন্ন রকম মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে থাকে। 

এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর মাধ্যমে একজন নারীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। যার ফলে POSC রোগ সহ এ জাতীয় বিভিন্ন রকম জটিল ও কঠিন রোগের সমাধান পাওয়া যায়। তাই বলা যায় PCOS নিরাময় করার অন্যতম একটি সেরা পদ্ধতি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। 

PCOS এর ধারণা

Polycystic Ovary Syndrome (PCOS) হলো এক ধরনের হরমোনজনিত সমস্যা বা রোগ। এই রোগটি একজন নারীর প্রজনন বয়স কে প্রভাবিত করে। যার ব্যাপকতা রয়েছে অত্যাধিক। এটি একজন নারীর অনিয়মিত মাসিক, অত্যাধিক এনজেনের মাত্রা ডিম্বাশয় একাধিক সিস্টের উপস্থিতির মত সমস্যা সৃষ্টি করে।  তবুও PCOS রোগটি নিয়ে প্রায়শই মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়।

প্রায় বেশিরভাগ মহিলায় এই রোগের লক্ষণ কারণ এবং চিকিৎসার উত্তর খুঁজতে থাকে। কারণ এটি একজন নারীর শরীরের স্বাভাবিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। যার কারণে একটি নারীর মধ্যে নানান ধরনের অস্বাভাবিক সমস্যা গুলো দেখা দেয়। একজন নারীর PCOS হওয়ার অন্যতম কারণ হলো অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোনের দ্বারা শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া। এই সমস্যাটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় যোগ্য না হলেও পরিমিত জীবনযাপন ও নয়মিত চলাফেরার মাধ্যমে এই সমস্যাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

PCOS হওয়ার কারণ সমূহ

PCOS কেন হয় এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কিছু কারণ এই PCOS রোগের বিকাশে অবদান রাখে। PCOS হাওয়ার বেশ কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো 

একজন প্রজনন বয়সে নারীর শরীরে যদি এন্ট্রোজেনের উচ্চ মত্রা ওভারিয়ান ফাংশনে হস্তক্ষেপ করে ‌তবে তার শরীরে হরমোনের নানা ধরনের ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা যায়। যার কারণে তার PCOS সমস্যাটি বেড়ে যায়। এছাড়া নিম্ন গ্রেডের প্রদাহ ডিম্বাশয়কে অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন তৈরি করতে বাধ্য করে। আর এটিও PCOS সমস্যাটি বৃদ্ধি করে থাকে।

PCOS-হওয়ার-কারণ-সমূহ

আমার নানাবিধ চিন্ত্যর কারণে এ সমস্যাটি দেখা দেয়। PCOS এর সমস্যা কোন পরিবারে থাকলে তা এই সমস্যাটি বিকাশের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ কোন পরিবারে একজন মায়ের যদি এই সমস্যাটি থেকে থাকে তবে তা পরবর্তীতে মেয়েরও হতে পারে। এছাড়া PCOS হওয়ার অন্যতম আরো একটি প্রধান কারণ হলো খারাপ ডায়েট, শারীরিক ব্যায়ামের অভাব ও দীর্ঘস্থায়ী চাপ। এছাড়া নানাবিদ অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণেও PCOS এর সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আমি মনে করি PCOS নিরাময় করার ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিৎ।

PCOS এর লক্ষণ সমূহ

PCOS একটি অত্যন্ত ভয়াবহ সমস্যা। যা একজন নারীর মধ্যে হওয়া কিছু লক্ষণ সমূহের মাধ্যমে নিরুপম করা যায়। পিসিওস এর লক্ষণ সমূহ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন হতে পারে। কিছু কিছু মহিলা এর গুরুতর লক্ষণ সমূহ অনুভব করতে পারে। অনেকের মধ্যে এটির হালকা লক্ষণ এবং লক্ষণীয় লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

PCOS এর বেশ কিছু লক্ষণ আমরা স্বাভাবিকভাবে লক্ষ্য করতে পারি। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ড। কোন নারীর যদি PCOS হয় তাহলে দেখা যাবে স্বাভাবিক নিয়মে সে নারীর পিরিয়ড হচ্ছে না।  দেখা যাবে তার বছরে আটটির কম পিরিয়ড হবে, দীর্ঘস্থায়ীভাবে মাসিক চক্র ও মাসিকের সময় অস্বাভাবিকভাবে ভারী রক্তপাত হবে। এই PCOS পিরিয়ডগুলিও অপ্রত্যাশিত ভবে হতে পারে। 

এছাড়া মুখ, বুক, পিট সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুরুষদের ন্যায় অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধি হতে থাকবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাবে কারো কারো চুল পুরুষদের মতো চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা টাক পড়ে যাওয়ার মতন সমস্যা হবে। তাছাড়া এর আরো বিভিন্ন উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ওজন বৃদ্ধি হয়ে যাওয়া, পলিসিস্টিক ডিম্বাশয়, বন্ধ্যাত্ব বা মেজাজ পরিবর্তন অথবা হতাশাগ্রস্ত হওয়া।

PCOS এর ভয়াবহতা

PCOS নিরাময় করার ঘরোয়া পদ্ধতি যদি জেনে না থাকেন তাহলে কিছু বিষয়ে আপনার সমস্যা হতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা PCOS হলো নারীদের দেহে প্রজনন বয়সে হরমোন জনিত সমস্যার কারণে হওয়া অত্যন্ত ভয়াবহ একটি রোগ। যা একজন নারীর স্বাভাবিক জীবন যাপনকে চিরতরে বিষিয়ে তোলে। এই সমস্যাটি একটি নারীর দেহের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতাকে একেবারে পাল্টে দেয়। যার কারণে একটি নারীর মধ্যে আমরা প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা, মারাত্মক রকমের শারীরিক ও মানসিক ঝুঁকির মধ্যে পড়ার মতো ভয়াবহ সমস্যা দেখতে পাই।

এছাড়া এই সমস্যাটির জন্য কোন চিকিৎসা সময়মতো না নিলে দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভোগার কারণে ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা হতে পারে। তাই প্রত্যেকেরই এই PCOS এর বিষয়ে অত্যাধিক সাবধান হওয়া জরুরি। কেননা এই PCOS সমস্যাটির ভয়াবহতার কারণে একজন নারী তার সবকিছু হারাতে পারে।

PCOS নিরাময় করতে যেসব খাবার খেতে হবে

একজন নারীর PCOS এর সমস্যা চিরতরে নিরাময় করা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব নয়। তবে নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টিকর ও প্রথম খাবার খেয়ে এই সমস্যাটি আংশিক নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নারীর PCOS নিরাময় করার জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য খাবার গ্রহণ করা উচিত। PCOS এ আক্রান্ত অবস্থায় একজন নারীর উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার সমূহ খাওয়া উচিত। উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার সমূহ যেমন ওটস, ব্রাউন সুগার সবুজ শাকসবজি ফলমূল বাদাম সহ নানা ধরনের বীজ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।

এছাড়া মাছ-মুরগি, ডিম ও দুধের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কেননা এই খাবারগুলো শরীরে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তবে দুধ জাতীয় খাবার পরিমিত অনিয়ম মতো খেতে হবে। এর সাথে দারচিনি, মেথি বীজ ও গ্রিন টি খেতে হবে। কারণ এ জাতীয় খাবার ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চিনি, সফট ড্রিংক ও যেকোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন করতে হবে। কারণ পিসিওডি বিকাশের ক্ষেত্রে এই ধরনের খাবার বেশি ভূমিকা রাখে। আমার ধারণা অনুযায়ী PCOS নিরাময় করার ঘরোয়া পদ্ধতি একটা ভালো পদ্ধতি।

PCOS নিরাময় করার ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়ামের ভূমিকা

PCOS নিরাময় করার ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়ামের ভূমিকা অত্যন্ত কার্যকর। শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। যার মাধ্যমে মানবদেহের হরমোনের ভারসাম্যতা বজায় থাকে বা উন্নত হয়। সেই জন্য পিসিওএস নিরাময়ের জন্য বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে একজন নারকে প্রতিনিয়ত কিছু শারীরিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন বা অত্যন জরুরী।
পিসিওএস-নিরাময়-করার-ক্ষেত্রে-নিয়মিত-ব্যায়ামের-ভূমিকা

এইসব ব্যায়ামের মধ্যে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা জগিং করা, যোগ ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী কাজ। কেননা এর জাতীয় কাজ শরীরের চর্বি কমে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায় এবং ঘুমের মান উন্নত করে। যার দ্বারা শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং PCOS নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই এই সমস্যায় যারা ভোগে তাদের প্রত্যেকের জন্য শারীরিক ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরী। 

PCOS থেকে মুক্তি পেতে ওজন কমানোর প্রয়োজনীয়তা

PCOS থেকে মুক্তি পেতে ওজন কমানোর প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। কেননা অতিরিক্ত ওজন শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে শরীরের হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির ফলে একজন নারীর অনিয়মিত মাসিক ও বন্ধ্যাত্ব এর সমস্যা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা একজন নারীর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর একটি বিষয়। এছাড়া চুল পড়ে যাওয়া, চেহারায় ব্রণ ওঠা, ও বদমেজাজের মতো সমস্যা গুলো আরো তীব্র  হতে পারে।

নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে মানবদেহে ওজন কমানো সম্ভব হয়। যার কারণে একজন নারীর দেহ ইনসুলিন এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং মাসিক চক্র স্বাভাবিক হয় এছাড়াও শরীরের ওজন কমলে শরীরে এনার্জি ফিরে আসে এবং মানসিক চাপ কম হয়। যা PCOS নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই PCOS থেকে মুক্তি পেতে ওজন কমানোর প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত বেশি।

PCOS এর জন্য যখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে

একজন নারীর জন্য PCOS একটি অত্যন্ত ভয়াবহ ও জটিল একটি সমস্যা।তাই এই সমস্যাটি দেখা মাত্রই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে PCOS এর কিছু লক্ষণ আছে যেমন মাসিক দীর্ঘদিন অনিয়মিত হাওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন গলা, বুক,পেট ও পিঠে অবাঞ্চিত লোম গজানো, শরীরে হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি পাওয়া। এই ধরনের লক্ষণসমূহ যখন একটি নারীর মধ্যে দেখা যাবে সঙ্গে সঙ্গে সেই নারীর জন্য প্রয়োজন অতি দ্রুত একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।

এছাড়া যদি কোন নারীর গর্ভধারণের সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রেও তাকে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া যদি একজন নারীর মধ্যে তীব্র মানসিক অবসাদ দেখা দেয় সে ক্ষেত্রেও তাকে একজন গায়না কলেজের পরামর্শ নিতে। কেননা এই সমস্ত সমস্যা দেখা দেওয়ার পরেও কেউ যদি সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা না নেয়  তবে সেই ক্ষেত্রে তার মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। 

শেষ মন্তব্য

PCOS নিরাময় করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় PCOS হলো মহিলাদের প্রজননকলে হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। যদিও এই সমস্যাটি চিরতরে নিরাময় করা যায় না। তবে একজন নারীর সাধারণ জীবন যাপনের কিছুটা পরিবর্তন এনে এই সমস্যাটি কিছুটা নিরাময় করা যেতে পারে। অর্থাৎ একটি কার্যকর জীবন যাপনের মাধ্যমে এই বিষয়টি সুষ্ঠভবে পরিচালনা করা যেতে পারে। যার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন এই সমস্যাটির উপসর্গগুলো খুঁজে বের করা ও তাৎক্ষণিক এই সমস্ত বিষয়ে একটি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এবং  PCOS এর উপসর্গগুলো ব্যাপক আকার ধারণ করলে সঠিক সময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। তাহলেই এই PCOS সমস্যাটি ঘরোয়া উপায় নিরাময় করা সম্ভব।  250812

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url